যশোর প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া বার্তার পরও বুধবার যশোরের অধিকাংশ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছিলো চিকিৎসক শূন্য। এরআগে স্বাস্থ্যমস্ত্রী জাহিদ মালেকের আহবানেও সাড়া দেয়নি তারা। কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতংকে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীর সেবা বন্ধ করা এসব চিকিৎসকরা যেনো চেম্বারে ফিরতে নারাজ। প্রশাসনিক কড়াকড়ি আরোপ তারা তোয়াক্কা করছেন না। অভিযোগ উঠেছে, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী দেখা বন্ধ করা এসব চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালেও ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করছেন না।
বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ চিকিৎসকের চেম্বারের দরজা রয়েছে তালাবদ্ধ। ক্লিনিক কর্তপক্ষ জানিয়েছেন, নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতংকে গত ২১ মার্চের পর থেকে চিকিৎসকরা চেম্বারে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। গা ঢাকা দেয়া চিকিৎসকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. জয়ন্ত কুমার পোদ্দার, সহকারি অধ্যাপক ডা. কাজল কান্তি দাঁ, সহকারি অধ্যাপক ডা. খন্দকার রফিকুজ্জামান, সহাকারি অধ্যাপক ডা. শওকত আলী, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তৌহিদুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. এবিএম সাইফুল আলম, সহকারি অধ্যাপক ডা. গৌতম কুমার আচার্র্য্য, ডা. গৌতম কুমার ঘোষ, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মধূসুদন পাল, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যজমা ও বক্ষব্যাধি কনসালটেন্ট ডা. পলাশ কুমার, নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. এটিএম সোলাইমান কবীর, ল্যাপারোস্কপিক ও ইউরোলজিক্যাল সার্জন ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. উবায়দুল কদির উজ্জল, সার্জারি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. এনকে আলম, সহকারি অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক ডা. অজয় কুমার সরকার, গাইনী বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. রবিউল ইসলাম, সহযোগি অধ্যাপক ইলা মন্ডল, সহকারি অধ্যাপক মনিকা রানী মোহন্ত , ডা. নার্গিস আক্তার , ডা. শারমিন নাহার পলি, ডা. রীনা ঘোষ, ডা. নিলুফার ইসলাম, ডা. রেবেকা সুলতানা দীপা, ডা. হাবীবা সিদ্দিকা ফোয়ারা, ডা. সালেহা খাতুন, ডা. সঞ্চিতা অধিকারী মিষ্টি, শিশু বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজুর রহমান, ডা. জাহাঙ্গীর ফেরদৌস সুমন, পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. আনছার আলী, কনসালটেন্ট মশিউর রহমান দিপু, নাক কান গলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. আখতারুজ্জামান, সহকারি অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, ডা. নুর কুতুবুল আলম ও অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. গোলাম ফারুক। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসকদের রোগী দেখার জন্য বারং বার অনুরোধ করা হচ্ছে। অনেকেই আশ্বস্ত করেছেন রোগী দেখবেন বলে। তবে সেটা সীমিত আকারে চেম্বার করবেন বলে জানিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকেই ভীত সন্ত্রস্ত রয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) যশোর জেলা শাখার সভাপতি ডা. একে এম কামরুল ইসলাম বেনু জানান, ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার জন্য নেতা হিসেবে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছি। শুক্রবার থেকে অনেকেই চেম্বার করবেন বলে আশাবাদী।